English
নিবন্ধন / লগ ইন / লগ আউট









বাংলাদেশের রক্তদাতাদের ডেটাবেস। আপনার প্রয়োজনে রক্তদাতা খুঁজুন ও মহৎ কাজে অংশ নিতে নিবন্ধন করুন।


বাংলাদেশের সম্মানিত ডাক্তারদের ডেটাবেস। আপনার প্রয়োজনে যেকোন অবস্থানের ও বিভাগের ডাক্তারদের তথ্য খুঁজে নিন । ডক্টর ডেটাবেসে যুক্ত হতে নিবন্ধন করুন


জরুরী প্রয়োজনে এ্যাম্বুলেন্স খুঁজুন অথবা ডেটাবেসে যুক্ত হতে নিবন্ধন করুন।


পৃথিবীতে হাজারো রোগ আছে, কিন্তু সবাই জানে না কোন সমস্যায় কোন ধরনের চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়। সঠিক চিকিৎসা পেতে হলে প্রথমেই জানতে হবে কোন রোগে কোন বিশেষজ্ঞ দরকার। ভুল বিভাগে গেলে সময়, অর্থ ও জীবনের ঝুঁকি বাড়ে। তাই সচেতনতা জরুরি— রোগ বুঝে সঠিক ডাক্তার খুঁজুন

জেনে নিন

যে ব্যাক্তি কোন ব্যক্তিকে রক্ষা করল সে যেন সমস্ত মানুষকে রক্ষা করল।(আল কুরআন)

সর্বশ্রেষ্ঠ ও নিঃস্বার্থ দান হলো রক্তদান। রক্ত এমন এক তরল যা কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা যায় না।প্রানীদেহে রক্তের প্রয়োজন।রক্তের অভাবে মানুষের মৃত্যু হতে পারে। কোন মানুষের দেহ থেকে রক্ত সংগ্রহ করে প্রয়োজন মেটাতে হয়।রক্ত দিলে রক্ত কমেনা বরং নিয়মিত রক্তদানে নতুন লোহিত কনিকা সৃষ্টি হয়। প্রত্যেক সুস্থ মানুষের শরীরের লোহিত রক্তকণিকাগুলো স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ৮০ থেকে ১২০ দিন পরপর ধ্বংস হয় এবং প্রতিনিয়ত নতুন নতুন রক্তকণিকা তৈরি হতে থাকে । সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের শরীরে ৪ থেকে ৬ লিটার পরিমাণ রক্তথাকে । প্রতিবার ৪৫০ মিলিলিটার রক্ত দেয়া হয়।
আপনার কোন ভাই /বোন রক্তের অভাবে মারা যাচ্ছে অথচ আপনার শরীরে প্রয়োজনাতীত রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে যা দিয়ে চাইলে আপনি তার জীবন বাঁচাতে সহায়ক হতে পারেন।আপনি যদি রক্তদানে ইচ্ছুক না হোন আর মানুষটি যদি রক্তের অভাবে মারা যায় তবে তার মৃত্যুর দায়ভার কার??
মানুষ মানুষের জন্য। একজনের বিপদে অন্যজন পাশে দাঁড়াবে এটাই মানবিকতা। আর এটাই মানুষকে আরও মহৎ করে তোলে।অপর মানুষের বিপদে পাশে দাড়াতে এই সাইটে নিবন্ধন করে আপনিও মহৎ মানুষদের কাতারে সামিল হোন।

কেন রক্ত দিবেন?

০১। রক্তদান একটি মহৎ ও সর্বশ্রেষ্ঠ দান।
০২। আপনার দানকৃত রক্ত অপর মানুষের জীবন বাঁচাতে সহায়ক।
০৩।নিয়মিত রক্তদাতাদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।
০৪।বছরে তিনবার রক্তদানে শরীরে নতুন লোহিত কণিকা তৈরির হার বেড়ে যায়।এতে অস্থিমজ্জা সক্রিয় থাকে।
০৫। রক্তে কোলেস্টরেলের মাত্রা কমে যায়,ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
০৬। হৃদরোগ ও হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়।
০৭। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
০৮। শরীরে কোন বড় ধরনের রোগ আছে কিনা তার বিনা খরচে জানা যায়।যেমন: হেপাটাইটিস-বি,এইচআইভি, জন্ডিস ইত্যাদি।
০৯। রক্ত দিলে যে ক্যালোরি খরচ হয়,তা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
১০। কখনো রক্তদাতার রক্তের প্রয়োজন হলে ব্লাডব্যাংক গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রক্তের ব্যবস্থা করে দেয়।

কারা রক্তদান করতে পারবে?


০১। ১৮ বছর থেকে ৬০ বছরের যেকোনো সুস্থ মানুষ রক্তদান করতে পারবে।
০২। শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থব্যক্তি রক্ত দিতে পারবে।
০৩। ওজন অবশ্যই ৫০ কিলোগ্রাম কিংবা তার বেশি হতে হবে।
০৪। মহিলাদের ক্ষেত্রে ৪ মাস অন্তর-অন্তর,পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩ মাস অন্তর-অন্তর রক্ত-দান করা যায়।
০৫। শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত রোগ এ্যাজমা,হাপানি,ভাইরাস জনিত রোগমুক্ত হতে হবে।
০৬। রক্তবাহিত জটিল রোগ যেমন-ম্যালেরিয়া,এইডস,চর্মরোগ,হৃদরোগ,ডায়াবেটিস,সিফিলিস,গনোরিয়া,হেপাটাইটিস, টাইফয়েড এবং বাতজ্বর না থাকলে।
০৭। চর্মরোগ মুক্ত হতে হবে।
০৮। মহিলাদের মধ্যে যারা গর্ভবতী নন এবং যাদের পিরিয়ড চলছেনা।
০৯। আপনাকে অবশ্যই হেপাটাইটিস-বি,হেপাটাইটিস-সি,এইডস,ক্যান্সার,যক্ষা,সিজোফ্রেনিয়া এবং ম্যালেরিয়া রোগমুক্ত হতে হবে।
১০। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ,রক্তচাপ ও শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে হবে।
১১। কোন ধরনের এন্টিবায়োটিক সেবনের পর রক্তদান করা যাবেনা।

কেন রক্তের প্রয়োজন??


০১। দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের জন্য ।
০২। ক্যান্সার বা অন্য কোন জটিল রোগে আক্রান্তদের জন্য ।
০৩।অস্ত্রোপচার কিংবা সন্তান প্রসব ।
০৪। থ্যালাসেমিয়ার মতো বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন হয়।

সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় রক্তের অভাবে মানুষের মৃত পর্যন্ত হতে পারে।

রক্তদান সম্পর্কিত তথ্য

বাংলাদেশে জনসংখ্যার তুলনায় রক্তদাতা খুবই নগন্য।পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে বছরে আট থেকে নয় লাখ ব্যাগ রক্তের চাহিদা থাকলেও রক্ত সংগ্রহ হয় ছয় থেকে সাড়ে ছয় লাখ ব্যাগ।ঘাটতি থাকে তিন লাখ ব্যাগেরও বেশি।
এছাড়াও সংগ্রহকৃত রক্তের মাত্র ৩০ শতাংশ আসে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের থেকে।নিজের পরিবারের সদস্য বা পরিচিতজন না হলে এখনো বেশিরভাগ মানুষ রক্তের জন্য পেশাদার রক্তদাতাদের ওপর নির্ভর করে।এক ব্যাগ রক্ত দিতে সময় লাগে মাত্র ৭ থেকে ১৫ মিনিট।অথচ এই অল্প সময়ে চাইলেই একজন মানুষের প্রাণ বাঁচাতে সহায়ক ভূমিকা রাখা যায় ।
পুরুষের শরীরের ওজনের কেজি প্রতি ৭৬ মিলিলিটার এবং মহিলাদের শরীরে ওজনের কেজি প্রতি ৬৬ মিলিলিটার রক্ত থাকে। উভয়ের ক্ষেত্রেই ৫০ মিলিলিটার রক্ত সংবহনের কাজে লাগে,বাকিটা উদ্বৃত্ত থেকে যায়।
একজন মানুষের শরীরে উদ্বৃত্ত রক্তের পরিমাণ (৭৬মিলিলিটার-৫০মিলিলিটার)=কেজি প্রতি ২৬মিলিলিটারও মহিলাদের কেজি প্রতি (৬৬মিলিলিটার-৫০মিলিলিটার)=১৬মিলিলিটার অর্থাৎ,৫০ কেজি ওজনের একজন পুরুষের শরীরে উদ্বৃত্ত রক্তের পরিমাণ(৫০কেজি* ২৬মিলিলিটার) =১৩০০মিলিলিটার ও মহিলাদের (৫০কেজি*১৬মিলিলিটার)=৮০০মিলিলিটার
স্বেচ্ছায় রক্তদানে একজন দাতার কাছ থেকে ৩৫০ থেকে ৪৫০ মিলিলিটার রক্তসংগ্রহ করা হয় যা তার শরীরে থাকা মোট রক্তের ১০ ভাগের ১ ভাগএবংউদ্বৃত্ত রক্তের অর্ধেকেরও কম।যে পরিমাণ রক্ত নেয়া হয় সেই পরিমাণ রক্ত মাত্র ৪৮ ঘন্টার ব্যবধানে আবার আগের মতো হয়ে যায়।এ কারণে অধিকাংশ রক্তদাতা রক্তদানের পর কিছুই অনুভব করেন না।